সোমালিল্যান্ডে নতুন করে সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অঞ্চলটিতে গত দুই দিন ধরে স্থানীয় গ্রুপগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন এবং প্রায় দেড়শ মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমালিল্যান্ড আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার অংশ। কিন্তু ১৯৯১ সালে এটি আলাদা হয়ে যায়। যদিও এটি স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়। এখন সোমালিল্যান্ডের কিছু শক্তি আবারও সোমালিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে অঞ্চলটিতে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। আরব নিউজ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় গোষ্ঠীগুলো চায় অঞ্চলটি আবারও সোমালিয়ার সঙ্গে যুক্ত হোক। লাস আনোদ শহরে সবথেকে বেশি সংঘাত দেখা যাচ্ছে। সেখানে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। বেসামরিক মানুষের বাড়ি এবং হাসপাতালগুলোকেও টার্গেট করা হয়েছে। শহরের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হতাহতের আসল সংখ্যা গণনা করা অসম্ভব। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র লাস আনোদ জেনারেল হাসপাতালে মর্টার হামলা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ মোহাম্মদ হাসান বলেন, আমরা দফায় দফায় বাইরে থেকে আসা গুলিতে আক্রান্ত হয়েছি। আমাদের কার্যালয়ের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। সোমবার ও মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে হামলা করা হয়। ফলে কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে হয়েছে। কোন পক্ষ যুদ্ধ শুরু করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যুদ্ধ শুরুর একদিন আগেই স্থানীয় নেতা, ধর্মীয় নেতা এবং সুশীল সমাজের একটি কমিটি বিবৃতি দিয়ে সোমালিল্যান্ডের সরকারকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোমালিল্যান্ডের রাজনীতিবিদদের গুপ্তহত্যা অব্যাহত ছিল। এতে পুরো অঞ্চলে আতঙ্ক দেখা দেয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।